চাষাড়া

অতিরিক্ত রিক্সা ভাড়ায় অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জ শহরের জনগন-প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

এ কে এম সাইদুজ্জামানঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের রিক্স ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বিপাকে সাধারন মানুষ। সবচেয়ে বেসি ঝামেলায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের জনগন। প্রচুর পরিমান রিক্স থাকা সত্বেও গুনতে হচ্ছে অধিক ভাড়া। মাত্র ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে গুনতে হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা । সাথে রয়েছে রিক্স চালকদের বিরুপ আচরন।

শহরের প্রান কেন্দ্র চাষাড়া থেকে দুই নং রেলগেইট যেতে লাগে ২০-২৫ টাকা,রাস্তার হিসেবে যেখানে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ভাড়া। এছাড়াও রিক্সায় উঠে ২ মিনিটের রাস্তা পার হলেও ২০ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

ভাড়া বেসির সাথে রয়েছে রিক্সা চালকদের খারাপ আচরন। মান সম্মানের কথা ভেবে অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে,তবে মনের ক্ষোভ প্রকাশের পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম গুলোকে।

অতিরিক্ত রিক্সা ভাড়ার কারনে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের যাতায়তে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। মো আল-আমিন নামের এক পথোচারি নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কম’ কে বলেন, কাজের প্রয়োজনে চাষাড়া থেকে ২ নং রেল গেট এলাকায় আমার প্রতিদিন ৩-৪ বার যাওয়া আসা করতে হয়, রোজার শুরুতে রিক্সা ভাড়া হটাৎ করে ১৫ টাকা দিতে হচ্ছে,তবে রোজার মাঝা-মাঝি এসে এই টুকু পথের ভাড়া ২০ টাকা নিচ্ছে ,১৫ টাকা ভাড়া দিলেও তারা আজে-কাজে কথা বলে ২০ টাকা আদায় করে নিচ্ছে।

রিক্সা চালকদের জেরার মুখে পড়ছে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও মহিলারা। শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে আদায় করে নিচ্ছে অধিক ভাড়া, না হলে শোনাচ্ছে বাজে কথা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, রাস্তা পারা-পারের সময় রিক্সা চালকরা নতুন করে ইভটিজিং শুরু করে দিয়েছে। হটাৎ একদিন রাস্তার পাশে অপেক্ষা করা সময় এক রিক্সাচালক আমাকে বলে ভাড়া কত, পরে আমি তাকে ডাকলে রিক্সা চালক বলে ’কই জাইবেন সেটা জিগাইছি..”তাতে কি হইছে”।

এক কাথায় রিক্সা চালকদের জিম্মি ও তাদের  আচরনে ক্ষুব্ধ নগরবাসী। জনগনের দাবী সিটি করর্পোরেশন থেকে রিক্সা ভাড়া নির্ধারন করে দেওয়া হোক। তাহলে আমার প্রতিবাদ করতে পারবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

লকডাউনের নির্দেশনা

ঈদ পরবর্তী লকডাউন সম্পর্কে যে সর্বশেষ তথ্য জানালেন প্রতিমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কম: দেশে করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান লাকডাউন ঈদের জন্য শিথিল করা হলেও ঘোষনা করা হয়েছে ইদ পরবর্তি ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন।