নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ করোনার আক্রমনে ভঙ্গুর সারাবিশ্ব। এর ভ্যাকসিন আবিস্কার করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গবেষনা প্রতিষ্ঠান গুলো। কখনো গবেষকরা দেখাচ্ছেন আশার আলো, করোনার সংক্রমনের ওষুধ আবিস্কারের কথা বলে। তা আবার কয়েক দিন বা সপ্তাহ পড়েই আবিস্কৃত ওষুধ কাজ করছেনা বলেও বলছেন গবেষকরা ।
তবে এবার করোনার সাথে লড়াইয়ের যুগান্তকারী এক ওষুধের সন্ধান দিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষকরা। যুগান্তকারী ওষুধটির নাম ”ডেক্সামেথাসোন”।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই স্বল্প মাত্রার স্টেরয়েড চিকিৎসা একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার বলছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ।
ভেন্টিলেটারে থাকা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি এক তৃতীয়াংশ কমানো যাবে এ ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যেমে এবং যাদের অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে তাদের ৫০ ভাগ মৃত্যুর হার কমানো যাবে বলে জানায় গবেষকরা।
করোনা প্রতিষেধক হিসেবে বিশ্বে যে ওষুধ গুলো ট্রায়েল চলছিল তার অংশ হিসাবে দেখা হচ্ছিল এই ওষুধ করোনাভাইরাসের চিকিৎসায়ও কাজ করবে কিনা ।
ব্রিটেনে যখন করোনা মহামারি শুরু হয়েছে তার প্রথম থেকেই যদি এই ওষুধ ব্যবহার করা সম্ভব হতো তাহলে ৫০০০ প্রান রক্ষা করা যেত বলে অনুমান করেছেন গবেষকরা।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় বিশ্বের যে দরিদ্র দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, এটা তাদের জন্য বিশাল সুখবর। রোগীদের চিকিৎসায় এই ওষুধ বিশালভাবে কাজে লাগতে পারে তারা।
জীবন রক্ষাকারী..
এই ওষুধ নেবার ফলে তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪০% থেকে কমে ২৮%এ দাঁড়ায় যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে ছিলেন ।
করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৯০ ভাগ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেন বাড়িতেই। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক রোগী হাসপাতলে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন । হাতাপাতালে থাকা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যও বেসিরভাগ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেন।
হাসপাতালে থাকা কিছু সংখ্যক রোগীকে আক্সিজেন প্রদানের মাধ্যেমে চিকিৎসা দেওয়া হয় আর কিছু রোগীকে নিতে হয়ে ভেন্টিলেটারে। এই সকল উচ্চ ঝুঁকির করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্যই ডেক্সামেথাসোন সাহায্য করতে পারবে বলে মনে করা।
ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ডেক্সামেথাসোন দিয়ে দের তত্ত্বাবধানে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল রোগীর ওপর পরীক্ষা চালায়। অন্য ৪০০০ করোনা আক্রান্তেদের চিকিৎসায় যাদের ডেক্সামেথাসোন ওষুধ দেয়া হয়নি তাদের সাথে তুলনা করে দেখা গেছে, ভেন্টিলেটারে ছিলেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি এই ওষুধ নেবার ফলে ৪০% থেকে কমে ২৮%এ দাঁড়ায়। আর যাদের অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৫% থেকে কমে আসে ২০%। যা কিনা ডেক্সামেথাসোন ওষুধ ব্যবহার না করায় ১০ ভাগ ভেন্টিলেটারে থাকা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।