আর্জেন্টিনায় কোচ সাম্পাওলিকে অনুর্ধ্ব-২০ এ দিতে হবে পরিক্ষা।

নারায়ণগঞ্জ বাণী নিউজঃ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে আশানুরূপ সাফল্য এনে দিতে পারেননি হোর্হে সাম্পাওলি। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) তাঁকে জাতীয় দল থেকে আপাতত অনূর্ধ্ব-২০ দলের দায়িত্ব দিয়েছে। বয়সভিত্তিক এই দলের কোচ হিসেবে সাম্পাওলির পারফরম্যান্স দেখার পর তাঁর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আর্জেন্টিনা হোর্হে সাম্পাওলিকে নিয়ে উভয়সংকটে পড়েছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। তাঁকে কোচ হিসেবে রাখলেও বিপদ, না রাখলে আরও বড় বিপদ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বরখাস্ত করলে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে এএফএকে। আর জাতীয় দলের কোচ পদে রাখলে নিন্দার তুবড়ি ছোটা চলতেই থাকবে। সেটি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের ব্যর্থতা বিবেচনায়। তবে সাম্পাওলিকে নিয়ে এই জটিল সমস্যার সমাধান বের করে ফেলেছে এএফএ। সাম্পাওলির অধীনে বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। এরপর থেকেই প্রশ্নটা উঠেছে, এই কোচ নিজে সরে দাঁড়াবেন, নাকি তাঁকে ছাঁটাই করা হবে? কিন্তু এর কোনোটাই হলো না। সোমবার এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাম্পাওলি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের দায়িত্ব নেবেন তিনি।

২৮ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় বয়সভিত্তিক দলের একটি টুর্নামেন্ট আছে। সেখানে অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ হিসেবে সাম্পাওলির পারফরম্যান্স দেখবে এএফএ। এরপর জুলাই মাস শেষে এএফএর নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ হিসেবে সাম্পাওলির ভবিষ্যতের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এএফএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই শেষে নির্বাহী কমিটির যে বৈঠক বসবে, সেখানে সদস্যরা যুগ্মভাবে সাম্পাওলির পারফরম্যান্স মূল্যায়ন এবং তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাম্পাওলির অনূর্ধ্ব-২০ দলের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটিও বেশ নাটকীয়। এই দলটার দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল সাম্পাওলির সহকারী কোচ সেবাস্তিয়ান বেচ্চাচের। কিন্তু তিনি আর্জেন্টিনা প্রিমেরা লিগের ক্লাব ডিফেন্সা ওয়াই জাস্টিসিয়ার কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। এতে নিজেকে প্রমাণের সুযোগটা পেয়ে গেলেন সাম্পাওলি। তবে জাতীয় দল থেকে অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ পদে নেমে যাওয়ার ব্যাপারটি দুবার কোপা আমেরিকাজয়ী কোচের সঙ্গে কতটুকু মানায়, সেই প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

হাইতিকে ৪-০ তে উড়িয়ে দিল মেসির আর্জেন্টিনা

রিপোর্টার : সুমাইয়া হোসেন লিয়া বিশ্বকাপের আর মাত্র ২ সপ্তাহ বাকি। হ্যাঁ, দিনগুনলে মাত্র ১৪ দিন পরেই রাশিয়া বিশ্বকাপ। আসছে জুন মাসের ১৪ তারিখ স্বাগত দেশ রাশিয়া ও সৌদি আরব এর খেলা দিয়ে উঠবে এই বিশ্বকাপের পর্দা। শেষ মুহূর্ত বলেই হয়তো প্রায় প্রতিটি দেশই নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন। ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি কিংবা ফ্রান্স-পর্তুগাল। এবারের বিশ্বকাপে ইতালি নেই বলেই হয়তো ইতালিয় সমর্থকদের অভাব অনেকটাই ফাঁকা ফাঁকা লাগবে মাঠ, সেই সাথে টিভির পর্দাও। তবুও এই বিশ্বকাপ একবারের জন্য হলেও হাতে পাওয়া কিংবা আরেকটি তারকা খচিত জার্সি পরার প্রতি অন্য দেশগুলোর আকর্ষণবোধ এখনও আছে অটুট। কেও কারোর চেয়ে যেন এক বিন্দুও কম নয়- এই মর্মেই প্রতিটি দেশ প্রতিটি বিপক্ষকে সর্বোচ্চ শক্তির দল হিসেবেই ভেবে নিচ্ছেন। গতবারের (২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ) রানারস আপ দল আর্জেন্টিনার তারকা খেলোয়াড়, মেসি নিজেদের ফেভারিট দল হিসেবে আখ্যায়িত না করলেও, ফুটবলপ্রেমীদের চোখ আর্জেন্টিনার খেলার প্রতি অনেক বেশিই থাকবে। মেসি, হিগুয়েন, আগুয়েরা ঠিকই জানেন সেই কথা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মে হাইতির বিপক্ষে ম্যাচটিতে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে দেরি করেননি কেও ই। যদিও ৪-০ তে জেতা এই ম্যাচটির পুরোটা সময় মেসিই স্পটলাইট নিজের দিক কেড়ে নিয়েছেন, তবুও বলা যায় আগুয়েরোও কম যাননি। হিগুয়েন, মারিয়া নিষ্প্রভ থাকলেও কমতি হিসেবে ধরা দেননি। ১৭ মিনিটে পেনাল্টি দিয়ে শুরু, এরপর ৫৮ ও ৬৬ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি। এই হ্যাটট্রিকের মাধ্যমেই দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর মধ্যে গোলের দিক দিয়ে ২য় অবস্থানে উঠে এসেছেন লিওনেল মেসি। তার সামনে এখন ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল করা ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি- পেলে। পেলের সাথে নিজের মাত্র ১৪ গোলের ব্যবধান ঘুচালেই সর্বোচ্চ গোলদাতার তকমা পেয়ে যাবেন এই জাদুকর। ১০৮ র‍্যাংকিং এ থাকা হাইতির বিপক্ষে ৩ গোল মেসির পা থেকেই এসেছে আরেকগোলের এসিস্টও করেছেন তিনি নিজে। সেটিকে পরে গোলে পরিণত করেন আগুয়েরো। তবে মেসির আশা- বিশ্বকাপে তাকে সংগ দিবেন ক্রিশ্চিয়ান পাভন। আগামি ৯ জুন ইসরায়েলে গিয়ে আরেকটি  প্রীতি ম্যাচ খেলবে র‍্যাংকিং ৫ এ থাকা আর্জেন্টিনা। এখন বার্সেলোনাতে অনুশীলন সম্পন্ন করলেও ৯ জুনের পরই রাশিয়ার উদ্দেশ্যে উড়াল দিবে এই দল। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের মাঠে নামবে তারা। কোচ সাম্পাওলির দিক নির্দেশনা মেনে চললে এবং প্রতিটি খেলোয়াড় নিজেদের খেলা খেলতে পারলে আর্জেন্টিনাকে এই বিশ্বকাপের ফেভারিট হিসেবে ধরে নিতে, কেও আটকাতে পারবেনা। তাই পুরো বিশ্ববাসীর নজর থাকবে গ্রুপ ডি তে থাকা আর্জেন্টিনার তিনটি খেলার দিকেই।