রোহান অর্পন : যদি বলা হয় এমন একটি মুভি ফ্যাঞ্চাইজির নাম যেখানে বুড়ো থেকে কড়া পর্যন্ত ভরপুর বিনোদন পাবে সেখানে “এভেঞ্জার” ফ্যাঞ্চাইজির কথা বলা বাহুল্য । মার্ভেল সিনেমটিক ইউনিভার্সের ফ্যান বছরের পর বছর এই মুভির জন্য অপেক্ষা করতে সক্ষম ।গত বছরের নভেম্বর মাসের ২৯ তারিখে এভেঞ্জার ইনফিনিটি ওয়ারের প্রথম ট্রইলার টি প্রকাশ করা হয় । বর্তমানে ১৬০ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে এটিতে । অপেক্ষার প্রহর শেষ। এই বছর এপ্রিলের ২৮ তারিখে বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে এই চমক প্রদক ছবিটি । এভেঞ্জার সিরিজের প্রথম মুভিটি মুক্তি পায় ২০১২ সালে “দ্যা এভেঞ্জারস” এবং দ্বিতীয় মুভিটি মুক্তি পায় ২০১৫ সালে “এভেঞ্জার এইজ অব আল্ট্রন” । মূলত মারভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ১০ বছরের সব কাহিনীর যোগ সূত্র হতে যাচ্ছে এই মুভিটি । তো বহুল প্রতিক্ষীত এই মুভিতে কি হতে যাচ্ছে? কেন থ্যানোসকে বলা হচ্ছে, কেভিন ফাইগির ভাষ্যমতে, “The Best, the Baddest Villain of MCU”?সিভিল ওয়ার’ এর পর দুই ভাগে বিভক্ত হওয়া এভেঞ্জার্সদের সামনে তাদের এ পর্যন্ত সম্মুখীন হওয়া সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা অপেক্ষা করছে ইনফিনিটি ওয়ারে । থ্যানোসের মত মাল্টিভার্সাল একজন প্রতিপক্ষের সামনে যেমন তাদের আগে পড়তে হয়নি ঠিক তেমনি তাদের টিমটি ও এর চেয়ে দূর্বল অবস্থায় দেখা যায়নি। । তাই তাদের আরো একবারএকত্রিত হতে হবে থ্যানোসের সম্মুখীন হওয়ার জন্য এবং নিজেদের এবিলিটির সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে তাকে আটকাতে হবে ছয়টি ইনফিনিটি স্টোন সংগ্রহ করা থেকে ।। থ্যানোস কে ? কেনই বা সে অর্ধেক পৃথিবী ধ্বংস করতে চায়?থ্যানোসের আবাস ভূমি হলো শনি গ্রহের উপগ্রহ ‘টাইটান’ এ । তার বিখ্যাত ‘The Mad Titan’ নামটিও এ কারণেই এসেছে । কমিক্সে তার বিশ্বব্রহ্মাণ্ডর অর্ধেক প্রাণ ধ্বংস করার মোটিভ কে অনেকটাই বদলে দিয়েছে এমসিইউ তে। ‘Entertainment Weekly’ তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুভির ডিরেক্টরদের একজন জো- রুশো থ্যানোসের ব্যাক স্টোরি নিয়ে কিছু আলোচনা করেন । থ্যানোসের হোম প্ল্যানেট টাইটানে বর্তমানে প্রাণের আর কোন অস্তিত্ব নেই। থ্যানোস মনে করে তার করা উচিত ছিলো এমন কিছু কাজ তাকে করতে দেওয়া হয়নি এবং যার ফলশ্রুতিতেই তার হোম প্ল্যানেট টি থেকে প্রাণের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। সে শপথ করে এরকম কিছু সে আর ঘটতে দিবেনা । সে মনে করে এই মহাবিশ্বে ক্রমবর্ধমান প্রাণের কারণে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। ভাইরাসের মতো শেষ করে দিচ্ছে এই মহাবিশ্বের অস্তিত্ব কে । এই ক্রমবর্ধমান প্রাণের কারণেই একসময় এই ব্রক্ষান্ড ধ্বংস হয়ে যাবে । তাই সে এই মহাবিশ্বে ব্যালেন্স তথা সমতা আনতে চায়। তারজন্য তাকে যদি অর্ধেক প্রাণ বিনাশ করতে হয় তাহলে সে তা ই করবে । তার অর্ধেক প্রাণ ধ্বংস করার জন্য হয়তো বাকি অর্ধেক প্রাণিরা বেঁচে যাবে প্রলয় থেকে।
“Half of humanity will still exist after I’m done. Perfectly balanced” থ্যানোসের স্টোরিলাইনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ইনফিনিটি স্টোন্স। ইনফিনিটি স্টোন্স মূলত ছয়টি প্রাচীন এবং রহস্যময় অসীম শক্তিশালী বস্তু যা ব্রক্ষান্ডের সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে।।
“Before creation itself there were six singularities forged into Infinity Stones ”
এই ছয়টি স্টোনের নিজস্ব আলাদা ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু যখন এদেরকে একত্র করা হয় তখন ই তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা আনলিশ হয় ।ছয়টি স্টোন একসাথে গন্টলেটে থাকলে থ্যানোস স্পেস,রিয়েলিটি,সোল,মাইন্ড,টাইম,পাওয়ার সব কিছুর ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে । থ্যানোস ‘ইনফিনিটি ওয়ার’ মুভিতে এই ছয়টি স্টোন সংগ্রহ করার মিশনে থাকবে । থ্যানোস যদি তার ইনফিনিটি গন্টলেটে এই ছয়টি স্টোন আনতে সক্ষন হয় তাহলে সে অনেকটাই সর্বশক্তিমত্তা পর্যায়ে চলে যাবে । সেই সাথে ঘটতে পারে মার্ভেল সুপার হিরো দের মৃত্যু!