২০১৭ সালে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে দেশে অবস্থান করছে ১১ লাখের বেশি। রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে রয়েছে অসংখ্য শিশু। ভবিষ্যত অনিশ্চিত জেনেও কাটিয়ে দিচ্ছে সময়। শিশুদের কিছু মূহৃর্ত তুলে ধরা হলো।
ফুটবল খেলায় মেতে উঠেছে রোহিংগা শিশুরা। সারাদিন তাদের হয় ক্ষুধার ভয় অথবা গুলির ভয়ে কাটাতে হয়, তবে একটার ভয় ও বাস্তবে থাকে না। কারন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উখিয়ার রোহিংগা ক্যাম্পে সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে তাদের খাবার ব্যবস্থা সহ সকল ব্যাবস্থা করে দিচ্ছে।
চার ভাই এর সময় যেন কাটছেই না। মা গিয়েছেন দুপুরের খাবার আনতে, আর এদিকে তারা অপেক্ষার প্রহর গুনছে ঘরের বাহিরে শুয়ে-বসে। ক্যামেরা দেখে যেন একটু হাস্যোজ্জ্বল চেহারা টা লুকানোর চেষ্টা করলো। রোহিংগা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতায়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলদেশ সরকার।
হাতে খাবার তবুও কিসের ভয়? ছোট্র শিশুরাও দিন কাটাচ্ছে আতংকে।
আনমনা হয়ে বসে আছে এক রোহিংগা শিশু
ভাই কে যত্ন নিচ্ছে বোন। এমন দৃশ্য বিরল নয়। তবে রোহিংগা শিশুদের মাঝে একাত্মতা একটু বেশি দেখা যায়। তবে তাদের চোখ মুখে এক আতংকের আভাসগুলো ভাস্যমান।
দুই ভাই-বোন বসে আছে এক সাথে। সারা শরীর জুড়ে ধুলোবালি, বাবা কে তারা হারিয়েছে বাংলাদেশে ফিরে আসার সময়। মা বের হয়েছে তাদের খাবার এর সন্ধানে, সেই অপেক্ষার প্রহর গুনছে তারা।
তীব্র রোদের মধ্যেও বাঁশের সাকোর উপর বসে আছে। হয়তো ভাবছে কবে ফিরে যাবে নিজ ঘরে, কবে ফিরে যাবে নিজ পরিবারের কাছে। পরিবার হারানোর সেই কষ্ট হয়তো আজও তার মনের মধ্যে কুকড়ে খাচ্ছে।
জামিলা(ছদ্মনাম) বয়সঃ১২। হাসি দেখে মনে হয়না কোনো শরনার্থী শিবিরে রয়েছে। তার বাবা-মা। খাবার আনার জন্য গিয়েছে। সে বাড়িতে একাই আছে। অনিশ্চয়তায় এগোচ্ছে রোহিংগা শিশুদের ভবিষ্যত। জামিলা নিজেও হয়তো জানে না। তার ভবিষ্যতে কোথায় হবে ঠাই।
ছবি: রেদোয়ান ইসলাম
লোকেশন: রোহিংগা ক্যাম্প উখিয়া, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।