নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটানো হলোনা বন্দরের জিওধারা এলাকার রনির। বহু স্বপ্ন নিয়ে কাতারে গিয়ে ৩ মাসের মধ্যেই তাকে লাশ হয়ে দেশে ফিলতে হলো। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কাতারের দোহায় সে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে তার লাশ কাতার থেকে নিজ বাড়িতে আসে। লাশ বাড়িতে পৌছার পরই হাজার হাজার গ্রামবাসী রনির লাশ দেখার জন্য তার বাড়িতে ভীড় জমায়। সকাল ৯টায় জিওধারা ঈদগাহে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, বন্দরের জিওধরা এলাকার মকবুল দেওয়ানের ছেলে রনি ৩মাস পূর্বে চাকরি নিয়ে কাতারের দোহায় ফাস্ট এগ্রিকালচার কোম্পনীতে যায়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দোহার সড়কে গাছের সুন্দর্য বর্ধণের কাজ করার সময় বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি তাকে চাপা দিলে সে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। কাতার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে হিমঘরে রেখে আইনী প্রক্রিয় শেষে ১১দিন পর গতকাল রোববার লাশ দেশে এসে পৌছে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাতার এয়ারওয়েজে করে নিহত রনির লাশ রাত ২টায় হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌছে। লাশের কাগজপত্র দেখে পুলিশ তাদের কাছে লাশ হস্তন্তর করে। তারা লাশ নিয়ে ভোরে বাড়িতে এসে পৌছে সকাল ৯টায় জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।