নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ ভারতে আঘাত আনার পর শনিবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত আনে ঘূর্ণিঝড় ফণী। তবে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
৪ মে শনিবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে থেকে ঘূর্ণীঝড় ফণী ‘র বিপদ কেটে গেছে। আবহাওয়া আবারো সাধারন অবস্থায় ফিরে আসবে,আর চিন্তা করার কোন কারন নেই।
তবে ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রবলে রগুনায় ২ জন, ভোলায় একজন, নোয়াখালীতে একজন মারা গেছে। এছারাও ঝড়ো হাওয়ার দরুণ বজ্রপাতে কিশোরগঞ্জে ৬, নেত্রকোণায় ২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন সহ সারা দেশে মোট ১৩ জন নিহত হয়। এবং বগুরায় ঘরে অবস্থান করা দাদি ও নাতি বাতাসে ঘর ভেঙ্গে ঘরের চাপায় নিহত হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিদের বার বার আশ্রয়কেন্দ্র যেতে বলা হলেও তার আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। নিহতদের মধ্যে দুই জন গাছের চাপায় নিহত হয়েছে। এছারাও নাটোরে সবজি চাষের জমি , মাছের খামার, ও গবাধী পশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চট্রগ্রামে বাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে প্রায় ৫০ টিরো বেসি গ্রাম। পানিতে ভেসে গেছে গাছপাল সহ জমির ফসল। রাজশাহী অঞ্চলে আম, লিচু নিয়ে চিন্তায় থাকলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে রাজশাহীতে। তবে ধানের যেমন ক্ষতির আশঙ্কা করেছিল চাষীরা তেমন কোন ক্ষতি হয়েনি বলেও জানিয়েছে ধান চাষীরা।
খুলনার উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়াও দাকোপ ও বটিয়াঘাটায় বেশ কয়েকটি এলাকার নদীর বাঁধে দেখা দিয়েছে, যেকোন সময় নদীল বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা ও রয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এছারাও উত্তরবঙ্গে রাস্তা-ঘাট ও নদী পথের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।