নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪ঃ নারায়ণগঞ্জে দিন দিন বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। বাড়ছে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মৃতের সংখ্যাও। কিন্তু সেই হারে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে না। সাধারণ ভাবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিন অতিবাহিত হলে করোনার ভয় কেটে যায় এমন ধারনা বিশেষজ্ঞদের।
গত ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হলেও গত ৩০ মার্চ বন্দরের রসুলবাগ এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক বয়ষ¦ নারীর মুত্যু হলে আলোচনায় আসে নারায়ণগঞ্জ। সেই থেকেই শুরু হয় সময় ও আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা গননা।
শুরু হয় নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে নানা উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন। কিন্তু কোন ক্রমেই ঠেকানো যাচ্ছেনা করোনার আক্রমন। একের পর এক বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, সাথে বহুগুন হারে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও। শহরের বাইরেও বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ছে করোনার সংক্রমন।
নারায়ণগঞ্জে প্রথম ধাপে গত ৩০ মার্চ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ১৪ দিনের করোনা আতঙ্কের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ গত ১৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় চারগুন এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েছে দ্বীগুনেরও বেশি। নারায়ণগঞ্জে করোনার দিন দিন ধারন করছে ভয়ানক রুপ। কিন্তু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা সে অনুপাতে বাড়ছেনা।
গত ৩০ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ধাপে গত ১৪ দিনে করোনয় আক্রান্ত হয়েছে ১৪৪ জন্ এবং মৃত্যু বরন করেছিল ১২ জন। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ গত ১৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৫৫ জন এবং মৃত্যু বরন করেছে ৩০ জন।
এ নিয়ে গত ২৮ দিনে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬৯৯ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪২ জন। এদের সথ্যে সুস্থ হয়েছে মাত্র ২৫ জন।
এ হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে তৃতীয় ধাপে ১৪ দিন পুর্ন হলে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ১২ ম্ েএর মধ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ ছড়িয়ে যাবে এবং মৃতের সংখ্যাও ৬০ জন ছাড়িয়ে যাবে।
অর্থাত তিন ধাপে ৪২ দিনে আগামী ১২ইমে এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে করোনয় আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে যাবে এবং মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে।
সেই হিসেবে ২৯ এাপ্রল থেকে এপ্রিল থেকে আগামী ১২ মে সময়টা করোনা আক্রান্তের দিক থেকে নারায়ণগঞ্জে হয়ে উঠতে পরে অস্বাভাবিক ভয়ংকর। সরকারি নির্দেশনা না মানলে তার পরিনতি হতে পারি আরও ভয়ংকর ।
তাই সবাইকে নিজেদের প্রয়োজনেই সরকারি প্রশাসনের নির্ধেশনা মেনে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরে থাকা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মগুলো মেনে চলাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
বাড়ছে করোনা সংক্রমন