নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪ঃ অপেক্ষার ১৯ বছর তবুও শেষ হয়নি নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলা মামলার বিচার কাজ। আজও প্রতিবছর ১৯ জুন নিহতের স্বজনরা চাষাড়ায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সেদিনের সেই বিভিষিকাময় ভয়ংকর রাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
এ ভাবে কেটে গেল ১৯ টি বছর শেষ হয়নি বিচার কাজ । তবুও আশায় বুক বেধে অপেক্ষা করছে নিহত ২০ জনের স্বজনেরা।
প্রতি বছরের মত এবারও চাষাড়ায় স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে এসে হতাশা ব্যাক্ত করেছে নিহতের স্বজনরা। তবুও তারা আশা প্রকাশ করেন, যে দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ৩০ বছর পরও হয়েছে,নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের মত মামলার রায় হয়েছে, ২০০২ সালের আড়াইহাজারে ৪ খুন মামলার রায় হয়েছে আমরাও বিচার পাব।
১৬ জুন মঙ্গলবার সকালে চাষাড়ায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে এসে নিহতের স্বজনরা এমন আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে শুধু মাত্র নিহতের স্বনরা শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।
২০০১ সালের ১৬ ই জুন রাতে শহরের চাষাড়ায় তৎকালীন আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলায় নিহত হয় ২০ নেতা-কর্মী। আহত হয় অনেকে। তখন অল্পের জন্য বেচে যান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান এবং মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা সহ অর্ধ শতাধিক। এদিকে বোমা হামলায় দুই পা হারিয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি থেকে ফিরে এসে এখনো কৃত্রিম পা নিয়ে বিচারের প্রহর গুনছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল ও যুবলীগ কর্মী রতন দাস।
শক্তিশালী সেই বোমা হামলায় নিহত হন শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের জিএস আক্তার হোসেন, সঙ্গীত শিল্পী মোশারফ হোসেন মশু নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবিএম নজরুল ইসলাম,সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা,মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী পলি বেগম,ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাস,কবি শওকত হোসেন মোক্তার, পান দোকানদার হালিমা বেগম, সিদ্ধিরগঞ্জ ওয়ার্ড মেম্বার রাজিয়া বেগম, যুবলীগ কর্মী সিদু রাম বিশ্বাস, আব্দুস সাত্তার, আবু হানিফ, এনায়েতুল্লাহস্বপন, আবদুল আলীম, শুক্কুর আলী ও স্বপন রায়। আরও একজন মহিলা নিহত হন এখনো যার পরিচয় মেলেনি। এদিকে বোমা হামলায় দুই পা হারিয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি থেকে ফিরে এসে এখনো কৃত্রিম পা নিয়ে বিচারের প্রহর গুনছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল।
২০০১ সালের ১৬ জুন এ ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদাক এড. খোকন সাহা। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে বিএনপি সরকারের আমলে মামলা দুইটির আসামীদেরকে অব্যহতি দিয়ে চুড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। পরে আবার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ২০০৯ সালের ২ জুন সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে সুষ্ঠু তদন্ত করার আদেশ দেয়। সেই থেকে অভিযোগ পত্র দাখিলের পরও নানা আইনি জটিলতায় বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের করোনার সর্বোশেষ অবস্থা-ক্লিক করুন এখানে
আরও পড়ুন নিচের লিংকে ক্লিক করে
- সারাদেশে করোনার নতুন রেকর্ড-মৃুত্য ৫৩.নতুম শনাক্ত ৩৮৬২
- যেনে নিন রেডা নারায়ণগঞ্জের জোন এলাকা
- ছুটি বাড়লো সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের