নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪ঃ বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির সথে করোন পরিস্থিতি নিয়ে আতংকিত বাংলাদেশ। এর সথ্যে রাজধানী ঢাকার পর সবচেয়ে ঝুকিতে আছে জেলা শহর নারায়ণগঞ্জ। হঠাৎ করেই গত এক সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন।
৬ এপ্রিল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয় ১২ জন সহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ২৩ জন। ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৫ জন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৮ জন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জকে করোনা সংক্রমনের দিক থেকে রাজধানী ঢাকার পর জেলা শহরগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জকে ঝুকিপুর্ণ হিসেবে দেখছে আইইডিসিআর।
তবুও নারায়ণগঞ্জে এখনও করোনা ভাইরাসের পরীক্ষাকাগার স্থাপন করা হয়নি। এমনকি করোনা টেস্ট ল্যাব করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে এমন আভাসও দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জানা যায়, ৪ এপ্রিল শনিবার ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আবু সাইদ(৫৫) নামের একজন। নিহত ব্যক্তির লাশ আইইডিসিআরের লোকজনের মাধ্যমে ঢাকার খিলগাওয়ে দাফন করা হয়েছে বলে জানা যায়। নিহত আবু সাইদ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সুচিন্তা নগর এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে নারায়ণগঞ্জে বন্দরের রসুলবাগ এলাকার এক বয়স্ক নারী গত ৩০ মার্চ রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে মৃত্যু হলে তাকে তার নিজ এলাকায় বন্দরের রসুলবাগে এনে স্বাভাবিক নিয়মে দাফন করা হয়।
এর তিন দিন পর ২ এপ্রিল সন্ধায় নারায়ণগঞ্জে খবর আসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল এই বয়স্ক নারী।
দেওভোগ আখড়া এলাকার চিতরঞ্জন ঘোষ (৫৮)। তিনি
২৭ মার্চ থেকে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করে পরে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৪ এপ্রিল সকাল ১০ টায় সেখানে তিনি মারা যার।
জামতলা হাজী ব্রাদার্স রোডের বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন(৬০)। তিনি ৪ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন এবং ৫ এপ্রিল রবিবার বিকেলে তিনি সেখানেই মারা যান।
পরে আইইডিসিআর তাদের নিকট হইতে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা শেষে তারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ৬ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনকে নিশ্চিত করেন।
এদিকে রারায়ণগঞ্জে সিটিকর্পোরেশন ১৮ নং ওয়ার্ডের শীতলক্ষা এলাকায় বসবাসরত ফারুক আহমেদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি করোনায় অক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন। ৬ এপ্রিল দুপুুুরে রাজধানীর কুয়েতু-মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জানা যায় কয়েকদিন ধরে তার দেহে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে ৪ এপ্রিল শুক্রবার তাকে রাজধানীর কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে ভর্র্র্র্র্তি করা হলে সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
৫ এপ্রিল বাংলাদেশ রোগতত্ব, নিয়ন্ত্রন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান(আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনা সম্পর্কে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জকে করোনা সংক্রামনে ঝুকিপুর্ণ জেলা হিসেবে ঘোষণা দেন।
করোনা সংক্রমনে এরই মধ্যে সারা দেশের সবচেয়ে ঝুকিপুর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা। প্রকিতিন দ্বিগুনেরও বেশি হারে বাড়ছে বাড়তে শুরু করেছে ভয়াভহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।
রাজধানী ঢাকার পর করোনা আতংক সবচেয়ে বেশি নারায়ণগঞ্জ । তার পরও নারায়ণগঞ্জে স্থাপন করা হচ্ছেনা করোনা পরীক্ষার ল্যাব। তাই সচেতন মহলের দাবী নারায়ণগঞ্জে যেন দ্রুত করোনা পরীক্ষর ল্যাব স্থাপন করা হয়।