নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ পরিবহন চাঁদাবাজির বিরোধে আবারো বন্দরের মদনপুর এলাকায় সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে । এতে পুলিশ সহ আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধীক ও নিহত হয়েছে ১ জন।
১২ জনুয়ারি শনিবার সন্ধা ৭টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
মনদপুর এলাকার বাসস্ট্যান্ডের পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমির হোসেন ও খলিলুর রহমানের সাথে বহুদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। মূলত তাদের বিরোধের জের ধরে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে বলে যানা গেছে।
১২ জানুয়ারি সন্ধায় ড্রিমল্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে খলিল মেম্বার গ্রুপের রিফাত ও নূর নবী নামের দুই জনকে পুলিশ আটক করে। পরে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে খলিল মেম্বারের লোকজন তাদের মুক্ত করার জন্য পুলিশকে ঘিরে রাখে।
পরে আমির হোসেনের লোকজন পুলিশের পক্ষ নিলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক মারামরি শুুরু হয় । এতে পুলিশ সহ প্রায় আহত হয় অর্ধশতাধীক এবং মারা যায় এক পোশাক শ্রমিক।
নিহত পোশাক শ্রমিকের নাম আশিকুর রহমান। নিহত আশিকুর রহমান মদনপুরের চানপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। জানা যায়, নিহত অশিকুর রহমান মদনপুর এলাকায় অবস্থিক পেন্টেক্স গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক। সে কারখানা থেকে বের হয়ে বাজার করার উদেশ্য মনদপুরে আসলে দুই গ্রুপের মাঝখানে পড়লে মারামারিতে নিহত হয়।
প্রায় ২ ঘন্টা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ থাকার পর অতিরিক্ত পু্লিশ ঘটন্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
সোনারগাঁও থানার ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন কেউ মারা যাবার বেপারে আমাদের কাছে এখনো কোন তথ্য নেই। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।