নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪ঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সুমা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে মদনপুর ফুলহর গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রছেছে স্বামী শাহাদাৎ হোসেন ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ময়না তদন্তের পর বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা বলছে পুলিশ।
নিহত সুমা সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউপির চকবাজার খৈতারগাঁও গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর মা রেহেনা বেগম জানান, বাড়ির পাশে মদনপুর স্ট্যান্ডে চা-পান দোকানদারি করে মেয়ের জামাই শাহাদাৎ ও মেয়ের শ্বশুর মোতালেব মিয়া ।
ওই দোকানে বিক্রির জন্য মঙ্গলবার সুপারি কাটতে বলেন শ্বশুর মোতালেব। ওই সুপারি কাটতে শ্বশুরের সঙ্গে অনীহা প্রকাশ করে সুমার স্বামীর কাছে বিচার দেয় শ্বশুর । শ্বশুর বিচার দেয়ার পর মঙ্গলবার রাতে মেয়ের ওপর অমানষিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী।
বুধবার সাড়ে ১১ টার দিকে মেয়ের ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় প্লাষ্টিকের রশি লাগানো অবস্থায় ঝুলে রয়েছে এমন খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে ঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাহিম মাসুম লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মামা জাবের হোসেন বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। ময়না তদন্তের পর বলা যাবে হত্যা না আত্বহত্যা।