নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ বন্দরে প্রবাসী স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম হাবিবা আক্তার রিতা(২৪)।
৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে শুভকরদী জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় নিজ ঘর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সৌদি প্রবাসী মো.স্বপন মিয়ার স্ত্রী। নিহত রিতার পরিবারের অভিযোগ, দেবর-ভাসুরের সঙ্গে রিতার পারিবারিক ভাবে বনিবনা হচ্ছিল না। এর জের ধরে তাকে হত্যা করে লাশ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কলাগাছিয়া ইউপির ঘারমোড়া গ্রামের রুহুল আমিনের একমাত্র কন্যা হাবিবা আক্তার রিতাকে পাশ^বর্তী শুভকরদী জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে সৌদি প্রবাসী স্বপনের সঙ্গে পারিবাবারিক ভাবে ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দাম্পত্ত জীবনে আবু রাইয়ান ৫ বছরের এক পূত্র সন্তান জম্ম হয়। দেনা পাওনা নিয়ে হাসিবা আক্তার রিতার সঙ্গে ভাসুর সাইফুউদ্দীন ও দেবর আপন এবং দেবর আপনের স্ত্রী আফসানার দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে সোমবার রিতার সঙ্গে দেবর-ভাসুরের সালিস বৈঠকে মিমাংসা করে দিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম্য মাতববরা।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁিস দিয়ে আত্নহত্যা করে রিতা। নিজ ঘরে ঝুলন্ত লাশ দেখে পারিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বন্দর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূ রিতা’র মা হাসিনা বেগম জানান, সকাল ৮টার দিকে নাতী আবু রাইয়ানকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যাই । তখন শশুর বাড়ীর লোকজন মেয়ে বাসায় নাই বলে তারিয়ে দেয়। পরে লোকমুখে শুনতে পাই মেয়ে মারা গেছে। এ খবর পেয়ে ছুটি গিয়ে ঘরে ডুকে দেখি মেয়ের লাশ ঝুলছে। আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। এখন আত্নহত্যা বলে চালিয়ে যাচ্ছে তারা
বন্দর থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, হাসিবা আক্তার রিতার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না । রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে হত্যা না আত্নহত্যা।