নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ বন্দরে যৌতুক না পেয়ে সুমাইয়া আক্তার বর্ষা নামের এক গৃহবধুকে মারধর করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
১৯ আগষ্ট সোমবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলী সাহারদী এলাকায় এঘটনা ঘটে। হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে আলী সাহারদী এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান নয়নের সাথে রাজধানীর কদমতলী থানার দনিয়া শরাইল এলাকার বাসিন্দা মনজুর ভূঁইয়ার বড় মেয়ে বর্ষার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের একটি ৪ বছরের কন্য সন্তান রয়েছে। বিয়েতে নিহত গৃহবধুর বাবা নগত টাকা,আবসাবপত্র ও স্বর্নালঙ্কার সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামল দিয়েছিল ঘাতক স্বামী নয়নের পরিবারকে। গত দুই বছর যাবৎ ঘাতক নয়ন নেশাগ্রস্থ হয়ে নিহত বর্ষাকে তার বাবা থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য প্রতিদিন শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করতো।
গত কয়েক দিন যাবৎ ঘাতক নয়ন ব্যাবসা করার নামে বর্ষাকে তার বাবার বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে । বর্ষাকে প্রতিদিন শারীরিক নির্যাতন চালায় নয়ন সহ তার পরিবারের লোকজন।
এরই ধারাবহিকতায় গত সোমবার সারা দিন তাকে শারীরিক নির্যাতন চালায় নয়ন সহ বর্ষার শাশুরী ও দেবর।
বর্ষার ছোট বোন মীম জানায়, তার বোন বর্ষা সোমবার বিকালে তাকে ইমোতে ভিডিও কল করে জানায়, তার স্বামী তাকে অনেক মারধোর করেছে, এখানে থাকলে হয়তো তাকে মেরেই ফেলবে। কান্না ঝড়া কন্ঠে মীম বলেন,আমার বোন এ কথা বলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তারা আমার বোনকে মেরে ফেলে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।
বন্দর থানার ফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষাকে হত্যার ঘটনায় বর্ষার বাবা মনজুর ভূঁইয়া বাদি হয়ে নয়নকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়েল করেছে। ইতিমধ্যে ঘাতক নয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত বর্ষার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাস ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।