নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ করোনার ভয়ে মানুষ যখন ঘওে বন্দি তখন নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যেন ফিরে পেয়েছে তার আপন বৈশিষ্ট্যমন্ডিত রুপ। বহুদিন পরে মহান ভাষা শহিদদের স্মৃতির মিনার আজ দাড়িয়ে আছে তার আপন মহিমা নিয়ে। জনমানবের কোলাহল মুক্ত এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
যেন পবিত্রতার প্রতিক হয়ে দাড়িয়ে আছে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র চাষাড়া মোড়ে। কয়েকদিন আগেও শহিদ মিনারটি ঘিরে ছিল ব্যাস্ততম শহরে বসবাসরত মানুয়ের যেন একটু নিশ্বাস ফেলার স্থান, শহরের সব বয়সের মানুষের আড্ডাখানা, ছিল আপন ও প্রিয় মানুষেল সাথে চায়ের আড্ডা জমানোর স্থান।
সন্ধ্যা হলেই হরেক রকম চা আর পুরান ঢাকার আইটেমের খাবারে মজেছে হাজারো জনতা। চা এবং অন্যান্য খাবারের দোকানগুলো শহীদ মিনারের বাউন্ডারি ঘেষে তোলা হয়েছিল কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ভিতরে বসেই খাবার খাওয়ার সাথে চলত আডডা।
মহামারি করো ভাইরাসে সারা বিশ্ব ও দেশ যখন আতংকিত, নারায়ণঘঞ্জ শহরও তার বাইরে নয়। সারা দেশের মত নারায়ণগগঞ্জ যখন জনশূণ্য, মানুষকে জরুরী পয়োজন ছাড়া বাইরে বেরুতে দেওয়া হচ্ছে না ঠিক সেই মূহুর্তটি যেন মহান ভাষা শহিদদের স্মুতির স্তম্ভ হয়ে দাড়িয়ে আছে অপন মহিমায়।
২৭ মার্চ শূক্রবার শহিদ মিনার এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। কথা হয় কয়েকজন পথচারীর সাথে তারা যাচ্ছিলেন কাঁচা বাজারের জন্য। তাদের মধ্যে একজন অক্ষেপ করে বলেন, এই শহিদ মিনারটি আজকের যে অবস্থা সব সময় যদি এমন থাকত তাহলে শহিদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা পেত।
যে মিনার তৈরি করা হয়েছিল সারা বছর পবিত্র রেখে প্রতি বছর মাহন শহিদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করার জন্য তা আজ সারা বছর থাকে মানুষের নানা রকম প্রয়োজন মেটানোর জন্য আর থাকে আড্ডা যেন একটি পার্ক যা জনগনের জন্য সারা বছর উম্মোাক্ত।
তবে করোনা আক্রান্তের ভয়ে মানুষ যখন ঘরে বন্দি ঠিক তখন নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় মহান শহিদ মিনার দাড়িয়ে আছে আপন মহিমা নিয়ে, যেন সে খূঁজে পেয়েছে সৃষ্টির পূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
সচেতন মহলের দাবি নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার যেন সারা বছর থাকে এমন পূতঃ পবিত্র , জন কোলাহল এবং আড্ডা মুক্ত।