ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রুপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকান্ডে ক্রমেই বাড়ছে লাশের স্তুপ-সর্বশেষ আপডেট

নারায়নগঞ্জ বাণী২৪ঃ নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।



তবে বৃহষ্পতিবার উদ্ধারকৃত তিন জনের লাশ সনাক্ত হলেও শুক্রবার উদ্ধার করা ৪৯ লাশের পরিচয় মেলেনি। শুক্রবার উদ্ধারকৃত লাশগুলোর শুধু মাত্র কঙ্কাল দেখে বুঝার উপায় না থাকায় মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভােেগ পাঠানো হয়েছে।

ডিএনএ পরীক্ষার পর সনাক্ত করে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।



নিখোঁজ ও নিহতের স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে কারখানা এলাকার চার পাশের পরিবেশ। কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে স্বজনরা অপেক্ষা করছে জীবিত না হলেও অন্তত তাদের মরদেহ যেন তারা ফেরত পায়। একটি লাশ উদ্ধার হলেই স্বজনা ভীর করছে লাশের পাশে কিন্তু লাশ সনাক্ত করার উপায় না থাকায় আবারো তাদের অপেক্ষা।

নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্তের নতুন সর্বোচ্চ রেকর্ড-গত ২৪ ঘন্টার আপডেট

শুক্রবার ঘটনাাস্থল থেকে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্মন গনমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত কারখানার ভেতর খেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর হাসপাতালে মারা গেছেন তিন জন।



আজকে উদ্ধার করা লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এর কারন জানতে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটির অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন রুপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহা নুসরাত জাহান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং জেলা কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।



এদিকে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থিত অনুদান দেওয়ার ঘোষণ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।

এর আগে ৮ জুলাই বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টায় রুপগঞ্জের ভূলতা কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রæপের হাশেম জুস এন্ড বেভারেজ কারখানায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে মিনা আক্তার, স্বপ্না রাণী ও মোরসালিন নামের ৩ জন শ্রমিক নিহত এবং প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হবার খবর পাওয়া যায়।



বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫ টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে শ্রমিকরা দলে দলে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে এবং চারদিকে বান্নার রোল পরে যায়। বের হয়ে আসা

শ্রমিকদের অভিযোগ চারতলায় কেচি গেটের তালা খুলে না দেওয়ায় অনেক শ্রমিক বের হতে পারেনি। হতাহতদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল এবং ১৬ জনকে রুপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১১ টি ইউনিট কাজ করেছে পরে অরও ৭টি ইউনিট সহ ডাকা ,নারায়ণগঞ্জ, ডেমরা সহ মোট ১৮ টি ইউনিট ২৪ ঘন্টা চেষ্টা করেও শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*