নারায়ণগঞ্জ বালী২৪.কমঃ নারায়ণগঞ্জ পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের দায়ের করা মামলায় অব্যহতি পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। ২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ড. এ কে এম এমদাদুল হক তাকে মালার দায় হইতে অব্যহতির অদেশ দেন। অরদিকে মামলার অন্য আসামী মোঃ অপুর পক্ষে চার্জ গঠনের দায় হইতে অব্যহতির অবেদন নাকচ করে অপুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত। সেই সাথে অগামী ১৮ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করা হয়।
২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। চার্জ গঠনের শুনানীকালে সেলিম ওসমান ও মোঃ অপু এবং শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল শ্যামল কান্তির পক্ষে বক্তব্য শুনানী কলে বলেন, ‘শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। তাদের এভাবে অপমান করা মানে গোটা জাতিকে অপমান করা। যেহেতু মামলার জুডিশিয়াল প্রতিবেদনে দুই জনের বিরুদ্ধেই শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে মারধর করে আহত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই উভয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার অবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের এই কুশলী।
অপরদিকে আসামি সেলমি ওসমানের পক্ষে ব্যারিস্টার মোঃ রায়হান, এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান ও মোজাম্মেল হক শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামী সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মতো কোন উপাদান বিদ্যমান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন। এবং আসামী মোঃ অপুর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ প্রথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় দন্ডবিধির ৩২৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।
২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে ঢাকার সিজেএম আদালতে বিচারের জন্য বদলীর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দেশ জুড়ে নিন্দা প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান সেদিন ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়াকে কেন্দ্র কওে উক্ত ঘটনায় শ্যামল কান্তির দায়ের করা অভিযোগ ভিত্তিকে তদন্ত করে পুলিশ।
২০১৬ সালের ১০ অগাস্ট ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জের স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পুলিশ দোষিদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে পুরো ঘটনা বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।