নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ নাসিক নির্বাচনে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে আবারও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী ডা., সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এ নিয়ে তিনি তৃতীয় বারের মত নগর মাতার আসনে অধিষ্ট হলেন আইভী। তার নিকটম প্রতিদন্ধী ছিলেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকাকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। আইভী ৬৯ হাজার ১০২ ভোট বেশি পেয়ে নাসিক মেয়র নির্বাচিত হন।
এর আগে রবিবার সকাল থেকে নির্বাচন শুরু হলে দিনের শুরুতে ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামুলক ভাবে কম লক্ষ্য করা গেলেও দিন বাড়ার সাথে সাথে বেড়ছে ভোটারদের চাপ। তবে ভোটারদের চাপ বাড়লেও নতুন পদ্বতি ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হওয়ায় ভোট প্রদানে ভোটারদের সময় লেগেছে তুলনামূলকভাবে বেশি।
কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে লক্ষাধিক ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন নাসিক নির্বাচনের প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে নির্বাচন নিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে কোন অভিযোগ করেননি কেউ।
আইভী ও তৈমূর আলম খন্দকার ছাড়াও অন্যান্য মেয়র প্রর্থী ছিলেন খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দলনের মোঃ জসিম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাসুম বিল্লাহ, এবং কল্যান পার্টির মোঃ রাসেল ফেরদৌস।
নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনি। নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা ছিল পুরো নারায়ণগঞ্জ মহনগর এলাকা। আইনশৃংখলা রক্ষায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন করে পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে ছিল পাঁজন করে পুলিশ সদস্য এ ছাড়াও ছিল আটজন পুরুষ ও চারজন করে নারী আনসার সদস্য ।
নির্বাচনে পুলিশের ২৭ টি টিম স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে। ছিল ৬৪ টি মোবাইল টিম।
প্রতিটি টিমে ছিল পাঁচ জন করে পুলিশ সদস্য। এ ছাড়াও বিজিবি , র্যাব, সহ নির্বাচনী মাঠে আইশৃংখলা রক্ষায় মাঠে কাজ করেছে মোবাইল কোর্ট।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখা ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন ও নারী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা ৪ জন।
নাসিকের ২৭ টি ওয়ার্ডে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখা ছিল ১৯২ টি। মোট ভোটের প্রায় ৫০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।