নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ দিন আগে ১৪ বছরের কিশোরীকে অপহরনের পর ধর্ষণের অভিযোগে ভন্ড কবিরাজ মিন্টু ওরফে মন্টু পচা (৪৩) ও তার সহযোগী মাহাদী হাসান খান (২৭) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (১৮ মে)
বিকালে মহানগরের ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসময় ধর্ষিতা কিশোরীকে ধৃতদের জিম্মাহ হতে উদ্ধার করা হয়। ধৃতরা হলো, মহানগরের ৮নং ওয়ার্ডের গোদনাইল ধনকুন্ডা ক্যানেল পাড় এলাকার আঃ বারেকের ছেলে ভন্ড কবিরাজ মিন্টু ওরফে মন্টু পচা ও তার সহযোগী রংপুর জেলারকোতয়ালী থানার সাহেবগঞ্জ এলাকার অজিত খানের ছেলে এবং মহানগরের ৩নংওয়ার্ডের রসুলবাগ এলাকার মানিক মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মাহাদী হাসান খান।
ধর্ষিতার পরিবারের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম
আহমেদ জানায়, জীন সাধক ও কবিরাজ হিসেবে মন্টু পচা ধনকুন্ডা এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। সেই সুবাধে ৮নং ওয়ার্ডের ২নং ঢাকেশ্বরী এলাকার নির্যাতিত ঐ কিশোরীর অসুস্থ্যতার কারণে ভন্ড কবিরাজ মন্টুর সাথে পরিচয় হয়। সে কারণে
মাঝে মধ্যে সেখানে আসা যাওয়া করতো।
গত ৮ই মে কবিরাজ মন্টু ঐ কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরন করে প্রথমে কুমিল্লার একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরের দিন ৯ মে অপহৃত কিশোরীর বাবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। ডায়েরী করার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ কিশোরীটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও কোথায় তাকে পাওয়া যাচ্ছিলনা। শনিবার বিকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি ভন্ড কবিরাজ সিদ্ধিরগঞ্জের ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায় অবস্থান করছে। তখন অভিযান চালিয়ে ভন্ড কবিরাজ মন্টু ও তার সহযোগী মাহাদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাদের জিম্মিদশা থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করা হয়। কিশোরিটিকে উদ্ধারের পর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে রবিবার (১৯ মে) সকালে কিশোরীটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে
পাঠানো হয়। একই দিন সকালে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।