নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪ঃ বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানী ঢাকার পরই সবচেয়ে ঝুকিপুর্ণ পয়েন্ট নারায়ণগঞ্জ। করোনার এই ভয়াল থাবা ঠেকাতে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে একেবারে বিশেষ কোন প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের না হওয়া।
এরই মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করেছে প্রশাসন।
নিয়মিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর পাশাপশি মোতায়েন করা হয়েছে স্বশস্ত্র বাহিনী। তবুও ঘরে রাখা যাচ্ছেনা মানুষজনকে। কেউবা প্রয়োজনে কেউবা বিনা প্রয়োজনেই বের হচ্ছে ঘর থেকে, জটলা বেধে চলাচল করছে। এমন অভিযোগ জেলা জুরে।
সবচেয়ে বেশি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পরিপস্থি হিসেবে দেখা যাচ্ছে কাঁচা বাজার গুলোতে। আর শহরের চেয়ে বেশি বেশামাল হয়ে পড়ছে গ্রাম এলাকার বাজারগুলো।
গ্রাম এলাকায় সারাদিন পর সকালে বসে কাঁচাবাজার। আর সব শ্রেণী পেশার মানুষ দলবেধে ঢুকে পরে কাঁচাবাজার ও মৎস বাজারে। এমনি চিত্র দেখা গেছে সোনারগাঁয়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কাঁচা বাজার গুলোতে।
১১ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে সোনারগাঁয়ের বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দ বাজার, সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ধন্দী বাজার ও বিষনাদী বাজার, বারদী ইউনিয়নের বারদী বাজার, জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর বাজার, কাচপুর ইউনিয়নের কাচপুর ও গঙ্গাপুর বাজার সাদীপুর ইউনিয়নের নয়াপুর বাজার, সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে বাজারগুলোতে কাঁচা ও মৎস বাজারে প্রচুর ভিরের মধ্যে বাজার করছেন মানুষজন। মানা হচ্ছেনা সামাজিক দুরত্ব।
এসব এলাকার বাজারগুলোতে লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, দির্ঘ দিনের সরকারি ছুটির ফলে সবাই যার যার বাড়িতে আবস্থান করছে সেকারনে প্রতিদিন বাজারে আসতেই হয়।
তবে উপজেলার কাছাকাছি এলাকায় যেমন বৈদ্যের বাজার বাজার, মোগরাপাড়া ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাজার, পিরোজপুর ইউনিয়নের কয়েকটি বাজারের চিত্র দেখা গেছে কিছুটা ভিন্ন।
সেই এলাকার বাজারগুলোতে কিছুটা হলেও সামজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গেখা গেছে। এর কারন হিসেবে জানা যায়, যে কোন সময় চলে আসে আইনশৃংখলা বাহিনী এমনকি চলে আসে মোবাইল কোর্ট ও স্বশস্ত্র বাহিনীর লোকজন।
কিন্তু উপজেলা এলাকা থেকে দুরে অবস্থানের কারনে অন্যান্য এলাকায় আইন শৃংখলা বাহিনীর আগমন খুব একটা দেখা যায়না। তাছাড়া, এসব এলাকায় চোখে পরার মত নেই কোন প্রচারনা কার্যক্রম।
ফলে এসব এলাকার মানুষ একদিকে যেমন জানতে পারছেনা করোনার ভয়াবহতা অন্যদিকে তা প্রতিরোধে করনীয় বিষয় সম্পর্কে বাড়ছে না সচেতনতা।
সব মিলিয়ে দেখা গেছে সারাদিন ঘরে বসে থাকলেও কাঁচাবাজারে গিয়ে সবাই একত্রিত হয়ে যাচ্ছে বাড়ছে গুচ্ছতা। তাহলে লকডাউন করেও ঠেকানো যাবেনা করোনার সংক্রমন।
তাই সোনারগাঁয়ের উপজেলার গন্ডি পেড়িয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কাঁচাবাজার গুলোতে আইনশৃংখলা বাহিনী তথা স্বশতস্ত্র বাহিনী ও মোবাইর কোর্টের মাধ্যমে সামাজিক দুরত্ব নিয়ন্ত্রন, প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রচার প্রাচারনার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন বলে দাবী এলাকাবাসীর।