নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলা চালিয়েছে পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকরামুল হাসান ওরফে রনি বিল্লাহ।
১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে মান্নানের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের এই নেতা। নির্বাচনে আচরণবিধি বিষয়ক আইনশৃঙ্খলা সভায় সহকারী রির্টাণিং অফিসার মোঃ শাহীনূর ইসলাম ও সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলমের উপস্থিতিতে এ হামলার শিকার হন মান্নান। ঘটনাস্থল থেকে রনি বিল্লাহকে গ্রেফতার হয়েছেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম, ওসি তদন্ত সেলিম মিয়া ও সেকেন্ড অফিসার সাধন চন্দ্র বসাককে প্রত্যাহার দাবি করেছেন বিএনপি প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান।
জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থীদের নিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে নির্বাচনের আচরন বিধি বিষয়ক সভায় সহককারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহিনুর ইসলাম ও সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম ও বিভিন্ন প্রার্থীরা অংশগ্রহন করেন। এসময় সোনারগাঁ পৌরসভার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভট্টপুর গ্রামের নাসিরউদ্দিনের ছেলে ইকরামুল হাসান ওরফে রনি বিল্লাহ সভায় প্রবেশ করে লোহার প্লাস নিয়ে হামলা করে। ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আজহারুল ইসলাম মান্নান আহত হন। মান্নানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের অভিযোগ, উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে ঢুকে ওসি ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের উপস্থিতিতে একজন ছাত্রলীগ নেতা আমার উপর হামলা চালিয়েছে। এতে প্রমাণ হয় সোনারগাঁয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এছাড়াও পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। আমি সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম, ওসি তদন্ত সেলিম মিয়া ও সেকেন্ড অফিসার সাধন চন্দ্র বসাকের প্রত্যাহার দাবী করছি। শুক্রবার তাদের প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবো।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শাহিনুর ইসলাম জানান হামলাকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হামলাকারী রনিকে ৩ মাসের সাজা প্রদান করা হয়েছে।