নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্যই নারায়ণগঞ্জের সেনারগাঁয়ে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হরুন অর রশিদ বলেন, হত্যাকান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাওহিদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমাম দিদারুলের হত্যাকান্ডে জড়িত একমাত্র আসামী মোঃ ওয়াহিদুর জামান(২৮)কে বুধবার ভোর রাতে মদিারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃত ওহিদুর জামান নড়াইল জেলার নড়গাথি থানার কলাবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র। তার সাথে ইমাম দিদারের আর্থিক লেনদেন ছিল এবং ওহিদুরের নিকট দিদারুল একটা মোটা অংকের টাকা পাওনা ছিল। পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় ওয়াহিদুর পরিকল্পিভাবে দিদারুলকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে মর্মে আসামী প্রাথমিক ভাভে স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। ঘাতক ওয়াহিদুরের রক্তমাখা লুঙ্গি এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেগুলো মামলার আলামাত হিসেবে জব্দ করা হয়েছ বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, খুনি হিযবুত তাওহিদের নাম ব্যবহার করায় আমরা মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে তদন্তকাজ চালচ্ছি এবং দ্রæত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। খুব শিঘ্রই তদন্তকাজ শেষ করে চার্জশীট দাখিল করা হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশ সুপার। নিহত দিদারুল হিযবুত তাওহিদের সাহিত জড়িত কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, টাকা লেনদেন নিয়ে এ হত্যাকান্ডটি সংগঠিত হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর অগে ২১ আগস্ট রাত ৯ ঘটিকায় সোনারগাঁয়ের মল্লিকের পাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম দিদারুলের শয়ন কক্ষ থেকে তার গলা দিখন্ডিত লাশ উদ্ধর করে পুলিশ। পরে ইমাম দিদারুলের ভাই মিজানুর বদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।