নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না।
৩০ এপ্রিল শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ধানায় প্রতারনা, নির্যাতন ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দির্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তিনি এ মামলা দায়ের করেন।
মামুনুল হক জান্নাতকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও জান্নাত তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করনে, বিয়ের প্রলোভন ও অসহায়েত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক আমার সাথে সস্পর্ক করেছেন।
BRAC-এ Deputy Manager-পদে চাকুরি-আবেদন করতে ক্লিক করুন
আড়ও পড়ুনঃ-২০২১ সালের ফিতরা’র হার নির্ধরণ,জেনে নিন ফিতরার হার সমূহ
বিয়ের কথা বললেও তিনি করব করছি বলে কালক্ষেপন করছেন। ২০১৮ সাল থেকে ঘুরাগুরির কথা বলে মামুনুল হক আমাকে বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে নিয়ে যান।
জান্নাত বলেন, ২০০৫ সাল তার স্বামী মাওলানা শহিদুল হকের মাধ্যমে মামুনুল হকের পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ার সুবাদে আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়ত ছিল। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতনৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহিদুল ও আমার মধ্যে দুরত্ব তৈরি করতে থাকেন। মামুনুলের কারনে আমাদের দাম্পত্য জীবন বিষিয়ে উঠে। সাংসারিক এই টানাপোড়নে মামুনুলের পরামর্শে আমাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
জান্নাত আরও জানান, বিচ্ছেদের পর মামুনুলের পরামর্শে আমি খুলনা থেকে ঢাকায় চলে আসি। মমুমুন তার বিভিন্ন অনুসারিদের বাসায় আমাকে রাখে এবং সেখানে নানাভাবে আমাকে প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে পারিবারিক পারিপার্শিকতার কারনে আমি তার ফদে পা দেই। এর পর তিনি আমাকে উত্তর ধানমন্ডির সার্কুলার রোডে একটি সাবলেট দেন। তিনিই তার ভাড়া দিতেন।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল রাতে হেফাজত ইসলমের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে নারী সহ অবরুদ্ধ হন। তখন তিনি ঐ নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন মামুনুল হক।
সোনারগাঁয়ে থানার অফিসাস ইনচার্জ মোঃ হাফিজুল হক মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, শুক্রবার সকালে জান্নাত আরা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে।