স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকা-চিটাগং হাইওয়ের মাঝেই রয়েছে মদনপুর বাস-ষ্ট্যান্ড। প্রতিদিন হাজারো মানুষের মিলনমেলা আজ যেন জনশূন্য প্রায়। গত ২৩ জুলাই শুরু হওয়া লকডাউনের প্রভাব দেখা মিলে এই বাস-ষ্ট্যান্ড এর দিকে নজর দিলেই।
প্রতিদিন যেখান থেকে হাজারো মানুষ টিকিট কেটে রউনা দিতো নানান জায়গার উদ্দেশ্যে, আজ সেই সড়কে নেই কোনো কোলাহল। তবে মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি চলছে অটো রিকশা, সি এন জি ও ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল।
নারায়ণগঞ্জে আসার পথে বাসের ভেতরে ড্রাইভার সহ ৬ জন মিলে গনধর্ষণ
মদনপুর ট্রাফিক পুলিশ কে রাস্তায় দেখা গেলেও তাদের কোনো একশনে দেখা যায় নি। কারন মানুষ স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে নানান বাহানায় ঘর থেকে বাহির হচ্ছে। এক ভদ্রলোকের নাম রহিম উনি ঢাকা থেকে জায়গায় জায়গায় থেমে থেমে অটো রিকশায় এগোচ্ছেন কুমিল্লার উদ্দেশ্যে।
তাছাড়াও মদনপুর একতা মার্কেট এর নিচতলা এবং দোতলা খোলা রয়েছে। নিচতলায় বাহিরে ফলের দোকান গুলো তে মানুষের ভিড় বাড়ছেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন “লকডাউন দেখতে আইছি সেই সুযোগে কিছু ফল কিন্না নিলাম”। ফলের দোকান খোলা রাখার বিষয়ে দোকানের মালিক দের সাথে কথা বলতে চাইলে জানায় এ ব্যাপারে মার্কেট কর্তৃপক্ষ জানেন।
আমরা যদি এই কঠোর লকডাউনেও অবাধে ঘর থেকে বাহির হই তবে করোনা মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক আনা সম্ভব হবে না কখনোই। সেই ক্ষেত্রে সকলের ঘরে অবস্থান করে নিজ জায়গায় সুস্থ থাকা জরুরী।