ঝড়ে পড়া শিশুদের দায়ভার

ঝড়ে পড়া শিশুদের দায়ভার নিবে কে!

রেদোয়ান ইসলামঃ বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ শিশু শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ছে অযাচিতভাবে স্মার্টফোন ব্যাবহারের কারনে। শুধু গ্রাম নয় শহর কেন্দ্রীভূত ছাত্র-ছাত্রীরাও আসক্তি হয়ে পড়ছে মোবাইল ফোনের জগতে।

করোনাভাইরাস শুরুর প্রাক্কালে স্কুল-কলেজ বন্ধ দেয়া হয় সেই থেকে আজ প্রায় ০৯ মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। এতে করে মনোবল হারিয়ে ফেলছে শিক্ষার্থীরা।


জাতিসংঘ ২০১৫ সাল থেকে এসডিজি প্রকল্প চালু করে, তা বাস্তবায়ন হতে সময় লাগবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। তাদের স্লোগান ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’।
বাংলাদেশ সরকার সেই লক্ষ্যে ছোট-বড় সকল বিবিধ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফল বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের মানুষ ভোগ করা শুরু
করেছে। তবে পিছিয়ে রয়েছে গ্রামাঞ্চলের শিশু-কিশোর।


গ্রামের মেঠোপথের পাশেই সবুজ ঘাসের উপর ফুটবল খেলা শিশুরা আজ মোবাইলেই সময় পার করে দিচ্ছে। গ্রামের পুকুরে শিশুদের খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে ম্যাচ খেলা, সব যেন আজ মোবাইলের স্ক্রিনে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই মূহুর্তে অভিবাবকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। কেননা যেই শিশুই হবে আগামীর ভবিষ্যত, সেই শিশু যদি এখন ঝড়ে পরে। তাহলে তাদের জন্য দায়ী থাকবে কারা?
অনলাইন গেইমস এর নেশায় ডুবে যাচ্ছে শিশুরা, মোবাইল গেইমসের মাধ্যমে অনলাইনেই বন্ধু বানাচ্ছে শিশুরা, তবে এই বন্ধুত্ব বাস্তব বন্ধুত্বের সাথে সম্পূর্ণ ভিন্ন।


শিশুদের মনোবল ঠিক রাখতে পরিবারের সাথে ঘনঘন সময় দিতে হবে এবং মাঝে মাঝেই শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে৷ অনলাইনে পড়াশোনা ছাড়া মোবাইল ফোন অল্প ব্যাবহার ই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*