নারায়ণগঞ্জ বাণী নিউজঃ কী কী কারণে রোজা ফাসেদ হয় সে সমস্ত জেনে রাখা অতি প্রয়োজন । না জানলে নিজের অজান্তেই রোজা নষ্ট হয়ে যাবে । অথচ রোজার কষ্ট করে কোনো লাভও হবে না । এ ব্যাপারে জ্ঞাতব্য বিষয়সমূহ নিম্নে লিখে দেয়া হলোঃ
১. যদি রোজাদার ব্যক্তি ভুলে কিছু খায় বা পান করে অথবা স্ত্রী সহবাস করে তবে রোজা ভঙ্গ হয় না। এই নিয়ম সকল প্রকার রোজার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
২. এরকম ভুলে যদি পেট ভরেও খায় তবুও রোজা ভাঙবে না। কিন্তু রোজার কথা স্মরণ হলে সঙ্গে সঙ্গে আহার বা সহবাস বন্ধ করে দিতে হবে। জ্ঞাতসারে পানাহার বা সহবাস করলে অবশ্যই রোজা ফাসেদ (নষ্ট) হয়ে যাবে।
৩. কোনো রোজাদারকে ভুলবশতঃ খেতে দেখলে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া ওয়াজিব (অবশ্য কর্তব্য)। কিন্তু যদি দেখে সে ব্যক্তি দুর্বল এবং রোজা রাখতে অসমর্থ তবে স্মরণ করাবে না। তাকে খেতে দিবে।
৪. কুলি করার সময় এবং নাকে পানি দেয়ার সময় যদি পেটে পানি যায় তবে রোজার কথা স্মরণ থাকলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে এবং পরে কাজা করতে হবে। আর যদি রোজার কথা স্মরণ না থাকে তবে রোজা নষ্ট হবে না।
৫. গোসলের সময় যদি পানি ফুসফুসে চলে যায়। তবে রোজা ফাসেদ হয়ে যাবে।
৬. যদি কোনো রোজাদার খাদ্যবস্তু নয়Ñ এমন কিছু গিলে ফেলে যেমন পাথর বা মাটি তবে রোজা ফাসেদ হয়ে যাবে। ঐ রোজার কাজা করতে হবে কিন্তু কাফ্ফারা প্রয়োজন হবে না।
৭. যদি কোনো কিছু চিবিয়ে তার রস গিলে ফেলে তবে রোজা ফাসেদ হয়ে যাবে এবং এর জন্য কাফ্ফারা ওয়াজিব (অবশ্য পালনীয়) হবে।
৮. যদি তরমুজের ছোলা বা এ জাতীয় কোনোকিছু যা মানুষে খেতে পারেনা এ সমস্ত খেলেও রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। কাফ্ফারাও আদায় করতে হবে।
৯. যদি চাল, মশুরী, মাশকালাই খেয়ে ফেলে তবে কাফ্ফারা ওয়াজিব হবেনা। তবে কাজা ওয়াজিব হবে।
সুত্রঃ রমজান মাস কিতাব।