সোনারগাঁয়ের আলোচিত সানাউল্লাহ হত্যা মামলায় ৫ আসামী ৩ দিনের রিমান্ডে। 

নারায়ণগঞ্জ বাণী নিউজঃ সোনরগাঁয়ে আলোচিত সানা উল্লাহ হত্যা মামলায় ৫ আসামীর বিরুদ্ধে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ১৫ জুলাই রবিবারবেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাহমুদুল মহসিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কতৃক ২১ আসামীর বিরুদ্ধে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ৫ অসামীর বিরুদ্ধে ৩দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং যূবলীগ নেতা নবী হোসেন সহ ১৬ আসমীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এর আগে এ বছরের ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান ৭টা৩০ ঘটিকায় সোনারগাঁ থানার দামোদরদী গ্রামের মিছির আলীর বড় ছেলে সানাউল্লা (৪২) বারদী বাজার হইতে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে ছনপাড়া জহির সাহেবের প্রজেক্টের পূর্ব পাশে পৌছলে পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা ঘাতক দল তাহার উপর আক্রমন করে চাপাতি, ছোড়া, লোহার রড, লাঠি সোটা ইত্যাদি অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলোপাথারী মারপিট করে এবং কোপাইয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত যখম করে। তাহার ডাক চিৎকারে পাশের লোক জনের সহযোগীতায় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

১০ এপ্রিল নিহত সানা উল্লার পিতা মিছির আলী বাদী হয়ে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন যূবলীগের সভাপতি নবী হোসেন সহ ২১ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। নবী হোসেন সহ ২১ আসামী হাই কোর্ট হইতে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে নিন্ম আদালতে অত্ম সমর্পনের শর্তে জামিনে এসে জামিন নামা দাখিল করার পর ১০ দিন পার হলেও আত্ম সমর্পন না করায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সকল আসামীর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। ৯ জুলাই যূবলীগ নেতা নবী সহ ২১ আসামী আদালতে আত্ম সমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন আকেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের আদেশ দেয়।

১০ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) উপ-পরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান ২১ আসামীর বিরুদ্ধে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদল করলে ১৫ জুলাই রবিবার আদালত আসামী আল আমিন, আমির হোসেন,রুহুল আমিন, নজরুল ও সিরাজের বিরুদ্ধে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে এবং যূবলীগ নেতা নবী হোসেন সহ ১৬ আসামীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন না-মঞ্জুর করে। আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে তাহার ছেলেকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে মামলার বাদী নিহত সানা উল্লার পিতা মিছির আলী। অপর দিকে আদালতে উপস্থিত আসামীর স্বজনরা দাবী নিহত সানাউল্লা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী হত্যাকন্ডের মূল ঘটনা ধামা চাপা দিতে অন্যায় ভাবে তাহাতের কে আসামী করা হয়েছে।

বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের পেনেল চেয়ারম্যান ইসমাইল মেম্বার জানান, নবী হোসেনের সাথে হাট, বালুমহল নিয়ে বিরোধের জের ধরে অযথা নবী সহ এই নিরিহ ২১ জনকে আসামী করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সনাউল্লার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মাদক সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে মামলা হওয়ার পর থেকেই মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানব বন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে এলাকাবাসী। এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন স্থানীয় এলাকার জনগন ও আওয়ামীলীগ এবং যূবলীগের নেতা-কর্মীরা।