রক্তাঅশ্রু ঝরা ১৫ আগষ্টঃ- সর্স্পুন ইতিহাস

নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ ১৫ আগষ্ট বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। বাঙ্গালী জাতির শোকাবাহ দিন। এই দিনেই হারিয়ে ছিল সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবান্ধু শেখ মুজিবুর রহমানক। পচাত্তোরের এই দিনে ভোর বেলায় ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাসায় সপরিবারে গুলি হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মুজিবের স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব , মুজিবের ভাই শেখ জামাল ও ছোট ভাই শেখ নাসের, ১০ বছর বয়সী শেখ রাসেল এবং মুজিবের দুই পুত্রবধুকে হত্যা করা হয় ও দুইজন চাকরকেও গুলি করে হত্যা করে খুনিরা। হত্যাকান্ডের সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে ছিলেন বলে তার রক্ষা পায় । হত্যাকান্ডের পর তার ভারত সরকারের কাছে আশ্রয় নেয় ও ভারতে চলে আসেন। তিনি নির্বাসিত অবস্থায় দিল্লীতে বসবাস করতে শুরু করেন। তারপর শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তন করেন।

্একই সাথে দুটি সৈনিক দল মুজিবের ভাগ্নে ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শেখ ফজলুল হককে ও তাঁর অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীর সাথে ১৩/১, ধানমন্ডিতে এবং মুজিবের শ্যালক ও সরকারের একজন মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে তাঁর পরিবারের ১৩ জন সদস্যসহ মিন্টু রোডে হত্যা করে ।

হত্যাকান্ডের বিচারঃ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায় মুক্তির আইন বাতিল করে ১৯৯৬ সালের ২ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলা দায়ের করেন।

রায় কার্যকরঃ ২০০৫ সালে বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি, ১) লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ২) লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)৩) লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, ৪) লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, ৫) মেজর বজলুল হুদা, ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়।

১২  জনের মধ্যে ৬ জন বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*