নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার উচিতপুরা ইউনিয়নের বিজয়নগর চকের বাড়ি এলাকায় আঁখি বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘরের মধ্যে হাঁটু গেড়ে বসে থাকা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আঁখির স্বামী মালয়েশিয়ায় প্রবাসী। পারিবারিক কলহের জের ধরে এবং নির্যাতন করে ভাসুর ও দেবরই তার মেয়েকে হত্যা করেছে বলে দাবী করছে আখির স্বজনরা। ঘটনার পর থেকে অখির দেবর ও ভাশুর পলাদত রয়েছে।
নিহত আঁখির বাবা আউয়াল জানান, প্রায় ৬ বছর আগে তার মেয়ে আঁখির সঙ্গে বিজয়নগর চকের বাড়ি এলাকার ছিদ্দিকের ছেলে হারুন অর রশিদের বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি আঁখির স্বামী হারূন অর রশিদ মালয়েশিয়ায় চলে যান। স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর থেকে তার ভাসুর কবির হোসেন ও দেবর ইসমাইল বিভিন্ন কারণে আঁখির ওপর নির্যাতন চালাতো। মঙ্গলবারও তারা আঁখি বেগমের ওপর নির্যাতন চালায়। বুধবার সকালে আঁখি বেগমের থাকার ঘর থেকে হাঁটু গেড়ে বসা ও ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কাশেম জানান, ‘ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যূর আসল কারণ জানা যাবে।’