নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ সোনারগাঁয়ে এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছন কায়সার হাসনাত। আগামী ৩০ শে জুন অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে এখনও ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি ক্ষমতাশীন মহাজাটের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
এ বির্বাচনী এলাকায় বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি মোশারফ হোসেন পান। মনোনয়ন পেলেও অনেক নাটকীয়তার পর কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ফলে বিনা প্রতিদন্ধীতায় সংসদ সদস্য হন জাতীয় পার্টির সিনিয়র যূগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা।
এবারও মহাজোটের মনোনয়ন পেতে তার তেমন বেগ পেতে হবেনা এমন ধারণা নিয়েই মাঠে নেমেছেন তিনি। তবে এ আসনে জাতীয় পার্টির চুরান্ত মনোনয়নের তালিকায় লিয়াকত হোসেন খোকার নাম চুরান্ত হলে ২৮ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন লিয়াকত হোসেন খোকা। যদিও জতীয় পার্টির আরও এক নেত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের পালিত কণ্যা অনন্যা হোসাইন মৌসুমিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জাতীয় পার্টি থেকে খোকার মনোনয়ন চুরান্ত হলেও মহাজোট থেকে ঘোষণা না অসায় এখনও মনোনয়নে আশাবাদী আওয়ামীলীগ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত এ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীগের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ-আল কায়সার, মোশারফ হোসেন, এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতি বিষয়ক উপ-কমিটর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির সিনিয়র যূগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকার নাম চুরান্ত হলেও হতাশ হয়নি অওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবী সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে নৌাকা প্রতিকে মনোনয়ন দিবেন।
এদিকে ২৮ নভেম্বর বুধবার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সোনারাগাঁয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। ঐ দিন কায়সার হাসনাতের মনোনয়ন পত্র জমাকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩০ হাজার নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটে উপজেলা চত্বরে। এসময় তারা কায়সারের পক্ষে নৌকা প্রতিক বরাদ্দের দাবী জানায় ।
সব মিলিয়ে সোনারগাঁয়ে এখননো নৌকা প্রতিক মনোনয়ন পেতে আশাবাদী আওয়ামীলীগ আর তৃণমূলের দাবী কায়সার হাসনাতই সবচেয়ে জনপ্রিয় আওয়ামীলীগের প্রার্থী এবং দলের দুঃসময়ের কান্ডারী। যিনি ক্ষমতার বাইরে থেকেও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক দায়ীত্ব পালন করে যাচ্ছেন।