নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
৪ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে র্যাব-১১’র একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলার এলেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র্যাব-১১’র সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে: কর্ণেল কাজী শমসের উদ্দিন উপস্থিত গনমাধ্যমকর্মীদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ফতুল্লা থানার দাপা ইদ্রাকপুর এলঅকার মৃত এসএম সামাদের ছেলে আব্দুল কাদের শান্ত (১৯) ও একই এলঅকার মৃত মিজানের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক শান্ত (২৩)।
সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গত ২৯ আগস্ট ফতুল্লা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩) মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৯৪, তাং ২৯/০৮/২০১৯। মামলা দায়েরের পর পুলিশের পাশাপাশি আমরা ছায়া তদন্তে নামি।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ, মামলার এজাহার পর্যালোচনা ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম ১৫ বছরের একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকা। ভিকটিম তার পরিবারের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকায় বসবাস করে আসছে। ভিকটিমের মা একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করে।
ঘটনার দিন গত ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টায় ভিকটিম সরিষার তেল ক্রয় করার জন্য একা তার বাসার পার্শ্ববর্তী একটি মুদি দোকানে যায়। ঐসময় ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত রাজন নামে এক যুবক তাকে জোরপূর্বক ফতুল্লা রেলষ্টেশনস্থ জোড়াপুল বালুর মাঠের নির্জন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাজন, শুভ, শান্ত ও অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন মিলে ভিকটিমকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ধর্ষনের পর এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বালার জন্য তাকে হুমকি দিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়
ভিকটিমের মা বাড়ীতে এসে বিষয়টি জানার পর ফতুল্লা থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপ-পরিচালক মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ, সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।