নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ বন্দরে নিখোঁজের দুই পর মো. খোকন (৩৫) নামের এক বালু ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে চাপাতলী পিটাউলনির ব্রিজের নিচ থেকে বস্তাবন্দি ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত খোকনকুড়িপাড়া এলাকার সালাউদ্দিন সালু মাদবরের ছেলে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আল আমিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছেন। এসময় গ্রেপ্তারকৃত আল আমিনের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা হাতুড়ি, ও ছিনিয়ে নেয়া, মোবাইল সেট এবং নগদ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৭ নং ওয়ার্ড কুড়িপাড়া এলাকার সালাউদ্দিন সালু মাদবরের ছেলে খোকনের সঙ্গে একই এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে আল আমিনের ব্যবসায়ীক ভাবে পাওনা দেনা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে বুধবার আল আমিন ও তার সহযোগীরা বালু ব্যবসায়ী খোকনকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে চাপাতলী ব্রিজের নিতে খালে ফেলে দেয়। দুইদিন পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে বস্তাবন্দি লাশ ভেসে উঠে।
এসময় এলাকাবাসী খোকন নিখোঁজ রয়েছে এ সন্দেহে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভাসমান বস্তা তুলে নিলে সেখানে নিখোঁজ বালু বালু ব্যবাসায়ীর লাশ সনাক্ত করে এলাকাবাসী ও তার পরিবার। নিহতের লাশ করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আল আমিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন জনসম্মখে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বুঝা যাচ্ছে, টাকা দেনা পাওনার জন্য বালু ব্যবসায়ীকে খোকনকে খুন করে আল আমিন। সে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে। হত্যাকান্ডের আরো কয়েক একজন জড়িত রয়েছে। হত্যাকান্ডের সময় ৭০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় আল আমিন। ছিনিয়ে নেয়া টাকার মধ্যে ৩০ হাজার ৫শত টাকা ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। মামলা তদন্তের স্বার্থে সহযোগীদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।