নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলায় ভিডিও ফুটেজে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯ জনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। অসামীদের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৯ অক্টোবর আবরার হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতার কৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবরারকে হত্যা করার ভয়ংকর তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেগ জানা গেছে, ঘটনার দিন আবরারকে ১০১১ নম্বর কক্ষে থেকে রাত ৮টার দিকে বুয়েট ছাত্র লীগ শাখার একই হলের দোতলার ২০১১ নম্বর টর্চার সেলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হুমকি প্রদানের পর তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে হকি ষ্টিক দিয়ে পেটাতে থাকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার।
এরপর সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিনও আরেকটি হকি ষ্টিক দিয়ে আবরারকে বেধর পেটানো শুরু করে। ওই সময় আবরারের হাত ধরে রাখে ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন। তাদের সাথে আবরারকে পেটানোতে অংশ নেয় উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল। এক পর্যায়ে তাদের সাথে মারধেরে অংশনেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ইশতিয়াক মুন্নাও নির্দয়ভাবে পেটাতে শুরু করেন আবরারকে। এভাবে আবরারকে কিল-ঘুশি ,লাথি ও হকি ষ্টিক দিয়ে পেটানোতে অংশ দেন ২২ জন।
মুখ চেপে ধরে রাাখায় চিৎকার ও কান্নাও করতে পারেনি আবরার।
ঘটনার এক পর্যায়ে টর্চার সেলে প্রবেশ করেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ। টর্চার শেলে প্রবেশ করে তারার অচেতন আবরারকে পেটাতে শুরু করেনা।
ভয়ঙ্কর এ নির্যাতনে মধ্যেই মৃতুবরন করেন মেধাবী ছাত্র আবরার।