লাঙ্গলবন্দ স্নান ঘাটের তিন কিলোমিটার এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪ঃ করোনা ভাইরাস সংক্রামক ঠেকাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সেই সাথে সকল সামাজিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠান এমনকি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এরই ফলশ্রুতিতে সরকারি ভাবে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ ভূমি ঐতিহাসিক লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নানোৎসব বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে । জেলা পুলিশের একাধিক টিম স্নান ঘাটের তিন কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্ট অবস্থান নেয়। ঘিরে রেখেছে পুরো স্নান ঘাট এলাকা।

তিথী লগ্ন অনুযায়ী আদি ব্রহ্মপূত্র নদের তীরে ৩১ শে মার্চ মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে অষ্টমী স্নান শুরু হয়ে পরদিন পহেলা এপ্রিল বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত স্নানোৎসব হওয়ার কথা ছিল।

পূর্বে বন্ধ ঘোষনা করলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে লাঙ্গলবন্দে জনমাগম না করতে এবং সাধু সন্নাসী পুণার্থীদের আগমন ঠেকাতে মাঠে সতর্ক অবস্থান নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল চন্দ্র জানান, তীর্থ স্থান লাঙ্গলবন্দে দুই দিনব্যাপী স্নানোৎসবে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও বাংলাদেশ সহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল থেকে প্রায় ১০ লাখ দর্শণার্থী অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। করোনা ভাইরাসে সংক্রমন ঠেকাতে জনসমাগম ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে স্নানোৎসব বন্ধ করা হয় । এই দুইদিন লাঙ্গলবন্দে না গিয়ে গৃহে অবস্থান করে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানান তিনি।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শুক্লা সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় সভা, সমাবেশ, ওয়াজ মাহফিল, তীর্থ যাত্রাসহ সবরকম জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহাসিক তীর্থ ভূমি লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উপলক্ষ্যে উৎসব লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমাটার এলাকা জুড়ে প্রায় ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটে।

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবার স্নান ঘাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। লাঙ্গলবন্দে গণজমায়েত না করতে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় জনসমাগম ঠেকাতে মাঠে কাজ করছে পুলিশের কয়েকটি টিম। পুলিশের এ সতর্ক অবস্থানে ডিউটিতে থাকবে বুধবার বিকাল পর্যন্ত।