নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সম্পত্তি লিখে লিখে না দিয়ে ও বিক্রির করে টাকা না দাদাকে কুপিয়ে জখম করেছে নাতি। শুক্রবার দুপুরে কাইনালী ভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হুকুম দাতা ছেলে সামসুল হক ও নাতি রাসেল (১৮)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত বৃদ্ধের নাম মোঃ ইয়ানূছ মিয়া (৮০)। গ্রামবাসী আহত বৃদ্ধকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বৃদ্ধ মোঃ ইয়ানূছ মিয়া জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় ছেলে নবীর হোসেন জামিনে এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে গ্রামবাসী জানান।
লাকাবাসী জানায় উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কাইনালীভিটা গ্রামের ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধ মোঃ ইয়ানূছ মিয়ার ছামসুল হক ও নবীর হোসেন সম্পত্তি লিখে দিতে অন্যথায় জমি বিক্রি করে টাকা দিতে হবে এমন দাবিতে বৃদ্ধ বাবাকে মানষিক চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
ওই দুই ছেলের কথা মতো জমি বিক্রি করে টাকা দিচ্ছে না বলে বৃদ্ধ পিতাকে শাররীক নির্যাতন করতো দুই ছেলে ও নাতি রাসেল। বৃদ্ধ নিরুপায় হয়ে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সি-আর মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ছেলে নবীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নবীর হোসেন জামিনে ছাড়া পেয়ে বৃদ্ধ পিতাকে জমি বিক্রি করে টাকা দিতে আবারো চাপ সৃষ্টি শুরু করে। এতে বৃদ্ধ রাজি হয়নি বরং ছেলেদের ওপর ক্ষেপে উঠে। শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে এই নিয়ে নিজ বাড়িতে বৃদ্ধের সঙ্গে দুই ছেলের কথাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে বৃদ্ধকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর শুরু করে। এসময় নাতি রাসেল চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাথারি ভাবে দাদাকে কুপিয়ে জখম
করে। তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছেলে সামছুল হককে গ্রেপ্তার করে। সন্ধ্যার পর গ্রামবাসীর সহযোগীয় নাতি রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বন্দর থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, দুই ছেলে ও নাতি মিলে ঘটনাস্থল থেকে প্রথম বৃদ্ধের ছেলে সামছুল হককে আটক করে পুলিশ। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাহিদ মাসুম নাতিরাসেলকে আটক করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।