নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪ঃ নারায়ণগঞ্জে আশঙ্কাজনক হরে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা।
গত কয়েদিনে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দুই ডাক্তার ও এক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শুধু তাই নয় নারায়ণগঞ্জের নামকারা ডাক্তার শাহ নেয়াজ ও তার পরিবারের ৪ সদস্য সহ ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের আরও কয়েকজন ডাক্তার। এম্বুলেন্স চালক সহ গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১০৭ জন।
দেশের বিভন্ন এলাকায় নারায়ণগঞ্জ থেকে নিজ জেলায় গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে প্রতিনিয়ত। নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য কোন জেলার লোক গেলেই সেই এলাকার প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা খবর রাখছেন তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে আছেন কিনা। নারায়ণগঞ্জ হলেই আটক কোয়ারেন্টাইানে।
ইতিমধ্যে আইইডিসিআর নারায়ণগঞ্জকে ক্লাস্টার হিসেবে উল্লেখ করে ঘোষণা দিয়েছে করোনায় ঝুকিপুর্ণ জেলা হিসেবে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকরা তাদের কর্মরত জেলায় ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাস বয়ে আনছে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগতরা বলে জনিয়েছেন তারা।
সরকার ,সরকারের স্বস্থ্য বিভাগ ,স্বস্থ্য মন্ত্রনালয় সহ ঢাকার পরে দেশের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি এখন নারায়ণগঞ্জে। নারায়নগঞ্জে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৭ জন। মৃত্যুবরন করেছেন ১১ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা অনুপাতিক হারে কম হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে।
ঠান্ডা জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও প্রায় ডজন ছাড়িয়েছে। সব মিরিয়ে নারায়ণগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগগ জনক । তাই প্রশাসন সহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলা ও ঘরে থাকার আহবানে সাড়া দেওয় এই তুহুর্তে অতি জরুরী বলে বনে করে সচেতন মহল।