গত ৩০ মার্চ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে প্রথম ১৪ দিনের করোনা আতঙ্কের চেয়ে গত ১৪ এপ্রিল থেকে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে ভয়ানক আকারে। সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়ংকর।
গত ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হলেও ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রসুলবাগ এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর খবরে করোনা বিষয়ে অলোচনায় আসে নারায়লগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে নানা উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন শুরু হয়। কিন্তু কোন ক্রমেই ঠেকানো যাচ্ছেনা করোনার আক্রমন। একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, সাথে বহুগুন হারে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও।
কিন্তু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা বাড়ছেনা। ফলে ৩০ মার্চ থেকে ভয়াবহ রুপ ধারন করে করোনা পরিস্থিতি।
সারারণ ভাবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিন অতিবাহিত হলে করোনার ভয় কেটে যায় এমন ধারনা বিশেষজ্ঞদের।
গত ৩০ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিনে করোনয় আক্রান্ত হয়েছে ১৪৪ জন্ এবং মৃত্যু হয় ১২ জনের।
দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পরবর্তী ১৪ দিনের অপক্ষার মধ্যে এর আগেই গত ১৪ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত গত ৬ দিনে করোনায় অক্রান্ত হয়েছে নতুন করে আরও ২৪২ জন। এবং গত ৬ দিনে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যু হয় ১৬ জন।
এ হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে দ্বিতীয় ধাপে ১৪ দিন পুর্ণ হলে আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছড়িয়ে যাবে এবং মৃতের সংখ্যাও ৩০ জন ছাড়িয়ে যাবে।
অর্থাৎ দুই ধাপে ২৮ দিনে আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে করোনয় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে যাবে এবং মৃতের সংখ্যা ৬০ জন ছাড়িয়ে যাবে।
সেই হিসেবে গত ১৪ এপ্রিল থেকে আগামী ২৮ এপ্রিল সময়টা করোনা আক্রান্তের দিক থেকে খুবই ভয়ংকর। সরকারি নির্দেশনা না মানলে পরিনতি হতে পারি আরও ভয়ংকর ।
সবাইকে নিজেদের প্রয়োজনেই সরকারি নির্ধেশনা মেনে ঘরে থাকা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মগুলো মেনে চলাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।